ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ ট্রেনের সময়সূচী এবং কিশোরগঞ্জ টু ভৈরব ট্রেনের সময়সূচী ভাড়ার তালিকা, টিকিট কাটার নিয়ম, স্টেশন লিস্ট এগুলো বিষয়ে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো।
ট্রেনে যাত্রা করতে চাইলে অবশ্যই সঠিক সময়সূচী জানা প্রয়োজন নয়তো ট্রেন মিস যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাহলে চলুন নিচের অংশগুলো থেকে ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ ট্রেনের সময়সূচী সহ আরো বেশ কিছু বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
ভৈরব বাজার স্টেশন থেকে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিনিয়ত তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে থাকে সেগুলো হলো এগারো সিন্ধুর প্রভাতী, এগারো সিন্ধুর গোধূলি এবং কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস। ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ এই তিনটি ট্রেনের সময়সূচী নিচে দেওয়া হলো:
| ট্রেনের নাম | ছাড়ার সময় | পৌঁছানোর সময় | ছুটির দিন |
|---|---|---|---|
| এগারো সিন্ধুর প্রভাতী (৭৩৭) | সকাল ৯:১৩ মিনিট | সকাল ১১ টা ১০ মিনিট | বুধবার |
| এগারো সিন্ধুর গোধূলি (৭৪৯) | রাত ৮:৫০ মিনিট | রাত ১০:৪০ মিনিট | ছুটি নেই |
| কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৮১) | দুপুর ১২:৩৫ মিনিট | দুপুর ২:১০ মিনিট | মঙ্গলবার |
ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ এই তিনটি ট্রেনের মাধ্যমে এখানে উল্লেখিত নির্দিষ্ট সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন। ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করতে চাইলে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের কিছুক্ষণ আগে রেল স্টেশনে গিয়ে পৌঁছাতে হবে।
কিশোরগঞ্জ টু ভৈরব ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
কিশোরগঞ্জ টু ভৈরব চারটি ট্রেন চলাচল করে সেগুলো হলো: এগারো সিন্ধুর প্রভাতী, এগারো সিন্ধুর গোধূলি, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস এবং বিজয় এক্সপ্রেস। এই চারটি ট্রেন প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট সময়ে কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ভৈরব স্টেশন এর উদ্দেশ্যে ছাড়ে। চারটি ট্রেনের সময়সূচী নিচে দেওয়া হলো:
| ট্রেনের নাম | ছাড়ার সময় | পৌঁছানোর সময় | ছুটির দিন |
|---|---|---|---|
| এগারো সিন্ধুর প্রভাতী (৭৩৮) | সকাল ৬:৩০ মিনিট | সকাল ৮:০০ মিনিট | ছুটি নেই |
| এগারো সিন্ধুর গোধূলি (৭৫০) | দুপুর ১২:৫০ মিনিট | দুপুর ২:৪০ মিনিট | বুধবার |
| কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৮২) | বিকাল ৪:০০ মিনিট | বিকাল ৫:২৮ মিনিট | মঙ্গলবার |
| বিজয় এক্সপ্রেস (৭৮৬) | রাত ১১:২৬ মিনিট | রাত ১২:৩০ মিনিট | মঙ্গলবার |
ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ ট্রেনের ভাড়া
ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন চলে এগুলো ট্রেনের বিভিন্ন রকম আসন রয়েছে অর্থাৎ সিট রয়েছে সেই আসন অনুযায়ী ভাড়ার তালিকা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ ট্রেনের ভাড়া সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৩ টাকা পর্যন্ত। আসন বিভাগ অনুযায়ী ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ ট্রেনের ভাড়ার তালিকা দেখে নিন।
| আসন বিভাগ | টিকিটের দাম |
|---|---|
| Shovan | 50 Taka |
| S_Chair | 60 Taka |
| F_Chair | 104 Taka |
| F_Seat | 104 Taka |
| Snigdha | 115 Taka |
| AC Seat | 133 Taka |
বাংলাদেশ রেলওয়ে এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তথ্য অনুযায়ী ভাড়ার তালিকা এখানে দেওয়া হয়েছে। টিকিট কাটার আগে অবশ্যই টিকিটের মূল্য কত টাকা তা জেনে নিবেন তারপরে টিকিট কাটবেন তাহলে।
ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম খুব সহজ অনলাইনের মাধ্যমে আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে টিকিট কাটতে পারবেন। ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ ট্রেনের টিকিট অনলাইনের মাধ্যমে কাটার নিয়ম ধাপে ধাপে নিচে দেওয়া হলো।
ধাপ ১: গুগলে সার্চ করে Bangladesh Railway এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে তারপরে অবশ্যই একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
ধাপ ২: ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ সিলেক্ট করতে হবে। কত তারিখে টিকিট কাটতে চাচ্ছেন সেই তারিখ সিলেক্ট করতে হবে। তারপরে ট্রেনের আসন বিভাগ নির্বাচন করে সার্চ করতে হবে।
ধাপ ৩: এরপরে তিনটি ট্রেনের অপশন চলে আসবে সেখান থেকে যে ট্রেনের টিকিট কাটতে চাচ্ছেন সেই ট্রেনের কয়েক রকমের টিকিট থাকবে সেখান থেকে একটি সিলেক্ট করে Book Now করতে হবে।
ধাপ ৪: ট্রেনের কোচ সিলেক্ট করে নিচের দিকে সিট সিলেক্ট করার অপশন থাকবে সেখান থেকে যে সিট ফাঁকা রয়েছে সেটা সিলেক্ট করতে হবে তারপর Continue Purchase করতে হবে।
ধাপ ৫: মোবাইল নাম্বারে ৪ সংখ্যার ওটিপি কোড আসবে সেই কোড বসিয়ে ভেরিফাই করে নিতে হবে।
ধাপ ৬: যার নামে টিকিট ক্রয় করা হবে তার তথ্যগুলো অর্থাৎ তার নাম, মোবাইল নাম্বার জিমেইল এগুলো দিয়ে দিতে হবে আর যার নামে অ্যাকাউন্ট তার নামে যদি টিকিট কাটার হয় তাহলে সেগুলো অটোমেটিক হয়ে যাবে।
ধাপ ৭: এবার টিকিটের মূল্য পরিশোধ করতে হবে সেজন্য বেশ কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং এর অপশন আসবে এবং ইন্টারন্যাশনাল কার্ড এর অপশনও থাকবে। যে কোন একটা মাধ্যম সিলেক্ট করে পেমেন্ট পরিশোধ করে দিতে হবে।
ধাপ ৮: পেমেন্ট পরিশোধ করা হয়ে গেলে টিকিট ভিউ নামে একটি অপশন আসবে সেখানে প্রেস করলে টিকিটের যে কপি সেটা দেখতে পাবেন। তো সেই কপিটি আপনারা সংগ্রহ করে ট্রেনের মাধ্যমে যাত্রা করতে পারবেন।
এভাবে খুব সহজেই এই কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। যদি আপনাদের বুঝতে কোন সমস্যা হয় তাহলে সেটা কমেন্ট করে জানাতে পারেন তাহলে আমরা আপনাদেরকে সেটা আরো সহজে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ ট্রেন স্টেশন লিস্ট
ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ রুটে যে ট্রেনগুলো সেগুলো ট্রেন বেশ কয়েকটি স্টেশন অতিক্রম করে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ যায় এবং আসে। তো অনেকেই সেগুলো স্টেশন লিস্ট জানতে চেয়ে থাকেন তাই এখান থেকে দেখে নিন ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ ট্রেন স্টেশন লিস্ট।
- ভৈরব বাজার রেলওয়ে স্টেশন
- কুলিয়ারচর রেলওয়ে স্টেশন
- বাজিতপুর রেলওয়ে স্টেশন
- সরারচর রেলওয়ে স্টেশন
- মানিক খালি রেলওয়ে স্টেশন
- গাচিহাটা রেলওয়ে স্টেশন
- কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ ট্রেনের মাধ্যমে যাওয়ার পথে এই কয়েকটি রেল স্টেশন থাকে। এবং এগুলো স্টেশনে অল্প সময়ের জন্য ট্রেন যাত্রা বিরতি নিয়ে থাকে।
ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ কত কিলোমিটার
ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ বিভিন্ন রুটে অর্থাৎ বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে যাওয়া যায় যেমন রেলপথ, সড়ক পথ এবং আকাশ পথ। ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ এর দূরত্ব আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। যা ট্রেন এর মাধ্যমে যেতে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা ৫৭ মিনিট লাগে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করছি প্রিয় বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনারা জানতে পেরেছেন ভৈরব টু কিশোরগঞ্জ ট্রেনের সময়সূচী সহ এই সম্পর্কিত আরো বেশ কিছু বিষয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো টিকিট কাটার নিয়ম।
তো আপনারা ট্রেনে যাতায়াত করতে চাইলে অবশ্যই এগুলো আপনাদের অনেকটা উপকারে আসবে। এ সম্পর্কিত আরো কোন প্রশ্ন থাকলে সেটা কমেন্টে জানাতে পারেন এবং বিভিন্ন রুটের ট্রেনের সময়সূচী জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখতে পারেন। সবার যাত্রা শুভ হোক।